বিশেষ প্রতিনিধি-সাভার ঢাকা
‘এক মিনিটে মাস্টার কি দিয়ে লক খুলে বাইক চুরি’, চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও বাইক উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। পুলিশ বলছে, চক্রের মূল হোতা অল্প কিছুদিন আগে আন্য একটি মামলায় আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে আটক হয় এবং জামিনে মুক্ত হয়েই দুইতিন দিনের মাথায় আবার বাইক চুরি করেছে।
২৯ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে আশুলিয়া থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুলাহ হিল কাফি এসব কথা বলেন, এবং মটরসাইকেল উদ্ধার ও আসামি আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ২৮ জানুয়ারি ফরিদপুর শহরের বঙ্গেশরদী সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাদের।
আশুলিয়া থানার এসআই অমিত বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে আশুলিয়া থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ আসছে । এর ধারাবাহিকতায়, গত ২৬ জানুয়ারি ভুক্তভোগী রাব্বি তার ইয়ামাহা R15 ভার্সন-৩ মোটরসাইকেল, চুরি হওয়ার লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অপস এন্ড ট্রাফিক উত্তর) জনাব আব্দুলাহ হিল কাফি এর তত্ত্বাবধানে সাভারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলাম ও আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এ এফ এম সায়েদ স্যারের নেতৃত্বে অভিযান শুরু করি।
অভিযানে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তদন্ত করে চক্রের মূল হোতা পলাতক নাসির খাঁ কে সনাক্ত করি। এবং সোর্স ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ফরিদপুর শহরের বঙ্গেশরদী থেকে ২ নং আসামী মোহাম্মদ সজিবকে গ্রেফতার পরে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী, ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১ নং আসামি নূর মোহাম্মদ কে গ্রেফতার করি। তাদের দেয়া তথ্যে নুর মোহাম্মদের শ্বশুরবাড়ি থেকে বাইকটিও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, মোটরসাইকেল চুরিতে দুটি মাস্টার কি ব্যবহার করে এক মিনিটে বাইক চুরি করে তারা। চুরি করা বাইকগুলো কয়েকটি হাত বদল হয়ে বিভিন্ন পথে ফরিদপুর হয়ে পাশবর্তী বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে যেত।
ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুলাহ হিল কাফি বলেন, চুরির নেতৃত্বে থাকা পলাতক নাসির খাঁ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৪ তারিখ আশুলিয়া থানার মামলা নং ৩৪ (ধারা ৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড) এ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। সে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীও প্রদান করে। গত ১৯ জানুয়ারি জামিনে বের হয়ে পুনরায় সে এই চুরির ঘটনা ঘটায়। পলাতক নাসিরকে সনাক্ত করে সাব ইন্সপেক্টর অমিত কাজ শুরু করে। তদন্ত ও বিভিন্ন থানায় মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সাল থেকে সজিব, নূর মোহাম্মদ সহ চক্রটি পলাতক নাসিরের সাথে এ কাজের সঙ্গে জড়িত। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে, এ চক্রের বাকি সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।